গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছেন এবং তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদেরকেও ডাকা হয়েছিল। আমরা যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছি, আজকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল।”
রাশেদ খান মনে করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই সমন্বয় একটি নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনার ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, গণ অধিকার পরিষদ সবসময় জনগণের স্বার্থে কাজ করবে এবং কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হবে না।
‘নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, এমনটাই মনে হলো’: রাশেদ খান
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টা হাত মিলিয়েছেন, যা একটি নতুন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদেরও ডাকা হয়েছিল। আমরা যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছিলাম, আজকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে আজকের আলোচনা যেভাবে শুরু হয়েছে, আমার কাছে মনে হলো নতুন করে আমরা আলোচনা শুরু করছি।”
রাশেদ খান আরও বলেন, “আজকের এই আলোচনা দেখে মনে হচ্ছে, আমরাও শেখ হাসিনার সঙ্গে হাত মিলিয়েছি। যেভাবে ভিন্নমত দেখলাম, বিশেষ করে যে দলগুলো সর্বশেষ দিন বক্তব্য রেখেছিল— একই দিনে জাতীয় নির্বাচন এবং জুলাই জাতীয় সনদের পক্ষে গণভোট— সেটি যেন সমন্বিতভাবে সাজানো একটি প্রক্রিয়া।”
তিনি দাবি করেন, গণ অধিকার পরিষদ সবসময় জনগণের পক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে থাকবে, কোনো সমঝোতা বা ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে তারা অংশ নেবে না।
তারাও দেখলাম আজকে ইউটার্ন করেছে। তারা এখন বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট। আমি সেখানে স্পষ্ট করেছি যে, আমাদের রাজনীতিবিদদের এই ধরনের চরিত্র জনগণ পছন্দ করে না। আপনি সকালে একটা বলবেন, বিকালে একটা বলবেন, আজকে একটা বলবেন, কালকে একটা বলবেন— এটা হতে পারে না।
আমরা সামনে না গিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছি’: ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় হতাশ রাশেদ খান
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে পাঁচজন উপদেষ্টার হাত মেলানো রাজনৈতিকভাবে পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সাম্প্রতিক আলোচনায় নতুন দিকনির্দেশনার বদলে পুরনো পথে ফেরার চেষ্টা হচ্ছে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আমাদেরও ডাকা হয়েছিল। আমরা যতটুকু তাদের কাছ থেকে শুনেছিলাম, আজকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তবে আজকের আলোচনা যেভাবে শুরু হয়েছে, আমার কাছে মনে হলো নতুন করে আমরা আলোচনা শুরু করছি।”
রাশেদ খান আরও বলেন, “ঐকমত্য কমিশনে আমি বলেছি— তাহলে কি আমরা সেই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত কমিশনে ফিরে যাচ্ছি? যেখানে আমাদের সামনে এগোনোর কথা, সেখানে আজকের আলোচনায় মনে হচ্ছে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমি কমিশনকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, আপনারা যেমন হতাশ, আমরাও তেমনি হতাশ। এটা জনগণ কোনোভাবেই প্রত্যাশা করে না।”
তিনি আরও জানান, “সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামনে ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিকে একটি সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। অথচ আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি না নিয়ে এখনো ভিন্নমত দেখাচ্ছি— যা আমাদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।”
রাশেদ খান মনে করেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে এখন ঐক্য ও দূরদর্শী পদক্ষেপই একমাত্র পথ।
আমাদের দাবির মধ্যে প্রতিদিন মতপার্থক্য তৈরি করছি। এজন্য আমরা বলেছি যে, আরো এক মাস যদি আপনারা এইভাবে আলোচনা করেন কোনোভাবে আমরা সিদ্ধান্তে আসতে পারবো না। আমরা নয়টি রাজনৈতিক দল বসেছিলাম, আলোচনা করেছি। দেখলাম আজকের এই ঐকমত্য কমিশনে তাদের মধ্যে ভিন্ন মত।
No comments