রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনে সক্রিয় খুলনার আলোচিত ডা. শেখ বাহারুল

রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনে সক্রিয় খুলনার আলোচিত ডা. শেখ বাহারুল, আওয়ামী লীগ, ডা. শেখ বাহারুল আলম বাহার, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ, এপিসি ফার্মাসিটিক্যালস,

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ বাহারুল আলম বাহারের বিরুদ্ধে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন এপিসি ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডা. বাহারুলের মেয়ে শেখ তামান্না আলম। এ সময় তার বোন ডা. তাসনুভা আলমও উপস্থিত ছিলেন।

অভিযুক্ত ডা. বাহারুল এপিসি ফার্মাসিটিক্যালসের চেয়ারম্যান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সাবেক সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনা শাখার বর্তমান সভাপতি।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ডা. শেখ বাহারুল তার বাসা ও বিএমএ ভবন ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

শেখ তামান্না আলম বলেন, “আপনারা আমার বাসার আশপাশে খোঁজ নিন—ডা. বাহার নিয়মিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং খুলনায় রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ গঠনের কাজ চালাচ্ছেন।”

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও জানান, “আমার মা ডা. শামসুন্নাহার এ শহরের স্বনামধন্য ডাক্তার ছিলেন। ১৯৮৯ সালে মায়ের মৃত্যুর পর বাবার নানা অন্যায় চোখের সামনে দেখেও আমরা প্রতিবাদ করিনি, কিন্তু এখন তিনি এক ভিন্ন ধর্মের নারী ও তার পরিবারের প্রভাবে সম্পূর্ণভাবে বদলে গেছেন।”

তামান্না আলম অভিযোগ করেন, “১৩০০ টাকা বেতনের একজন নারী কর্মচারী এখন বাবার প্রভাবে আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হয়েছেন।”

এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সোনাডাঙ্গা আমলি আদালতে মাকে হত্যার অভিযোগে বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেন শেখ তামান্না আলম।

আরো পড়ুন : নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল

মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৮৯ সালের ১৩ নভেম্বর রাতে খ্যাতনামা গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শামসুন্নাহার মিলন কে গলায় রশি বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। অভিযোগ অনুযায়ী, ডা. শেখ বাহারুল আলম তার স্ত্রীকে হত্যা করে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, প্রেমের সূত্রে বিয়ে হলেও পরবর্তী সময়ে বাহারুল একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, ফলে দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দেয়। স্ত্রী সামসুন্নাহার দুই কন্যাকে নিয়ে বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে, সেই আশঙ্কা থেকে তিনি তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

Janatar Voice জনতার ভয়েস খবর পেতে ফেসবুক পেইজ ফলো করুন

No comments

Powered by Blogger.