৪ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রামে আগুন, ২৫ শ্রমিককে উদ্ধার
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) একটি ভবনে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন ৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী কাজ করছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’-এর ভবনে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিইপিজেড, কেইপিজেড, বন্দর ও আগ্রাবাদ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট এবং নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত অন্তত ২০–২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ভবনের ভেতরে কেউ আটকা আছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে তল্লাশি চলছে।
সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানায়, ভবনটিতে প্রায় ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সরিয়ে নেওয়ায় হতাহতের আশঙ্কা নেই। নির্বাহী পরিচালক আবদুস সুবহান বলেন, “নৌবাহিনীর ফায়ার ইউনিট ও ফায়ার সার্ভিস একযোগে কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আগুন ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ভেতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। ভেতরে প্রবেশও কঠিন, কারণ বিদ্যুৎ সংযোগ ও ধোঁয়ার ঘনত্ব অত্যধিক।”
তিনি আরও জানান, “এখন পর্যন্ত ২০–২৫ জনকে উদ্ধার করেছি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত ভেতরে আরও কেউ আছে কিনা নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
চোখে দেখা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনের চারপাশে ঘন কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা ভবন ঘিরে রেখেছেন, যাতে কেউ ভিড় না করে।
জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, “দুপুরের পর হঠাৎ ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার শুনে সবাই নিচে নেমে আসে। যেখান থেকে আগুন লেগেছে, সেখানে সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ ছিল।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া জানান, “চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কোম্পানির দুটি তলায় আগুন লেগেছে, যা মূলত গুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আগুন এখনও জ্বলছে, তবে বড় কোনো হতাহতের খবর নেই।”
আরো পড়ুন: রাকসু নির্বাচনের শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, গণনা শুরু.



No comments