রাগ নিয়ন্ত্রণের ইসলামী উপায়
রাগ মানবজীবনের একটি স্বাভাবিক অনুভূতি। কিন্তু নিয়ন্ত্রণহীন রাগ মানুষকে এমন কাজ করতে বাধ্য করে, যার পরিণতি প্রায়ই অনুশোচনামূলক হয়। ইসলাম রাগকে দমন করতে এবং নিজের নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “শক্তিমান সে ব্যক্তি নয়, যে কুস্তিতে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করে; বরং প্রকৃত শক্তিমান সে, যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখতে পারে।” (বুখারি ও মুসলিম)
রাগ নিয়ন্ত্রণের প্রথম উপায় হলো আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “যখন কেউ রাগান্বিত হয়, সে যেন বলে— ‘আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’।” কারণ রাগ হলো শয়তানের প্ররোচনা, যা মানুষকে অন্যায় পথে নিয়ে যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, অবস্থান পরিবর্তন করা। রাসুল (সা.) পরামর্শ দিয়েছেন— কেউ যদি দাঁড়িয়ে রাগান্বিত হয়, সে যেন বসে পড়ে; বসে থেকেও যদি রাগ না কমে, তাহলে শুয়ে পড়ে। এতে মন শান্ত হয় এবং রাগ কমে আসে।
তৃতীয়ত, অজু করা। হাদিসে বর্ণিত আছে, রাগ আগুনের মতো, আর আগুন নিভে যায় পানিতে। তাই রাগের সময় অজু করলে দেহ ও মন উভয়ই শীতল হয়।
চতুর্থত, নীরব থাকা। রাগের মুহূর্তে কথা বললে তা অনেক সময় সম্পর্ক নষ্ট করে দেয়। ইসলাম শিক্ষা দেয়— রাগের সময় চুপ থাকা উত্তম।
অবশেষে, আল্লাহর প্রতি ভরসা ও ধৈর্য রাগ নিয়ন্ত্রণের মূল চাবিকাঠি। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর যারা রাগ সংবরণ করে ও মানুষকে ক্ষমা করে, আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।” (সূরা আলে ইমরান: ১৩৪)
গুনাহ মুক্ত থাকতে পারা নফল ইবাদত থেকেও উত্তম
অতএব, রাগ দমন শুধু আত্মনিয়ন্ত্রণ নয়, বরং এটি এক মহান ইবাদত। যে ব্যক্তি রাগের সময় ধৈর্য ধরে, সে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে অগ্রসর হয়।
JanatarVoice24 জনতার ভয়েস খবর পেতে


No comments