সুমুদ ফ্লোটিলার একটি ছাড়া সব নৌযান ইসরায়েলের দখলে
সুমুদ ফ্লোটিলার একটি ছাড়া সব নৌযান ইসরায়েলের দখলে
গাজার উদ্দেশে ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার আশা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিশাল বহর। এখন সেই যাত্রায় ভেসে আছে মাত্র একটি নৌযান, যা গাজার কাছাকাছি সমুদ্রে অবস্থান করছে। ইসরায়েল বলছে, খুব শিগগিরই এটিও থেমে যাবে।
দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানায়, গাজার সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টা বড় কোনো সংঘাত ছাড়াই শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সুমুদ ফ্লোটিলার ‘উস্কানি’ সমাপ্ত হয়েছে। তাদের মতে, হামাস বা ফ্লোটিলা—কোনো পক্ষই বৈধ অবরোধ অতিক্রম করতে বা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়নি।
আরো পড়ুন : সুমুদ ফ্লোটিলায় আটক কর্মীদের নেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলে
বিবৃতিতে বলা হয়, আটক যাত্রীরা সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাদের ইউরোপে পাঠানো হবে। গাজার কাছে অবস্থান করা একটি জাহাজে যান্ত্রিক সমস্যা থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেটি অবরোধ ভাঙার চেষ্টা করলে প্রতিহত করা হবে।
এর আগে আলজাজিরা জানিয়েছিল, ফ্লোটিলা ট্র্যাকার ৪৪টি নৌযানের প্রায় সবকটিকে ‘নিশ্চিত বাধাপ্রাপ্ত’ বা ‘সম্ভাব্য বাধাপ্রাপ্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তখনও সামারটাইম-জং, শিরিন, মাইকেনো ও ম্যারিনেট নামে চারটি জাহাজ চলমান ছিল বলে দাবি করা হয়। এর মধ্যে দুটি ছিল আইনি সহায়তাকারী নৌকা, যেগুলোতে আইনজীবীরা ছিলেন।
আরো পড়ুন : ইসরায়েলি বাহিনীর হেফাজতে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক কর্মী
তবে ইসরায়েলের সর্বশেষ ঘোষণার পর ফ্লোটিলা ট্র্যাকার বন্ধ হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে কেবল মানচিত্র দেখা গেলেও কোনো নৌযানের অবস্থা আর প্রদর্শিত হচ্ছিল না।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, আটক ফিলিস্তিনি কর্মীদের সমুদ্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়নি। তাদের আশোদ বন্দরে আনা হচ্ছে এবং সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ইউরোপে পাঠানো হবে।


No comments