ট্রাম্পের নজর ভেনেজুয়েলায় মার্কিন হামলার প্রস্তুতি
যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলায় মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার পরিকল্পনা করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলার বাস্তবায়ন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হতে পারে। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেননি।
এ খবর জানিয়েছে এনবিসি এবং মডার্ন ডিপ্লোমেসি। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার উপকূলে সন্দেহভাজন মাদকবাহী অন্তত তিনটি নৌকা ডুবিয়েছে, যাতে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেন, এই হামলাগুলো তার ক্ষমতা থেকে উত্খাতের মার্কিন প্রচেষ্টার অংশ।
মডার্ন ডিপ্লোমেসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে ইউক্রেন ও দক্ষিণ চীন সাগরের সংকটের কারণে আমেরিকান যুদ্ধজাহাজগুলো ভেনেজুয়েলার জলসীমার কাছে অবস্থান নিয়েছে। যদিও এটি বিশ্বব্যাপী শিরোনামে খুব কম এসেছে, তবে ওয়াশিংটনের নীরবতা দুর্ঘটনাজনিত নয়। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্যাটার্নের অংশ, যা জ্বালানি ও ভূ-রাজনীতির কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে।
বিশ্বের শীর্ষ তেল মজুদের মধ্যে থাকা ভেনেজুয়েলা দীর্ঘ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও বিশ্বমানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মূল কারণ হচ্ছে দেশটির তেল সম্পদ। শীতল যুদ্ধ থেকে শুরু করে উপসাগরীয় সংঘাত পর্যন্ত, আমেরিকার শক্তি তেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিল। তেলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারীরা বৈশ্বিক অর্থনীতির মূল ধমনি নিয়ন্ত্রণ করত। ভেনেজুয়েলার মতো তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো রাজনৈতিকভাবে বৈধ হলেও, ওয়াশিংটনের দৃষ্টিতে এগুলো রাজনৈতিকভাবে দুর্বল।
কারণ এই রাষ্ট্রগুলো তত্ত্বগতভাবে তেল সরবরাহকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে পারে।
ট্রাম্প প্রশাসন অস্বাভাবিক স্পষ্টতার সঙ্গে এই যুক্তি পুনরুজ্জীবিত করেছে। ভেনেজুয়েলার পিডিভিএসএ কম্পানি, ইরানের জাতীয় ইরানিয়ান তেল কম্পানি এবং রাশিয়ার জ্বালানি জায়ান্টদের ওপর নিষেধাজ্ঞা শুধু শাস্তিমূলক ছিল না। এগুলো অর্থনৈতিক অবরোধের হাতিয়ার, যার লক্ষ্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের আর্থিক জীবনরেখা হ্রাস করা এবং একই সঙ্গে বিশ্ববাজারে আমেরিকান শেল তেল কম্পানিকে আরো প্রতিযোগিতামূলক করে তোলা।
ভেনেজুয়েলা শুধু একটি তেলরাষ্ট্র নয়; এটি একটি প্রতীকী যুদ্ধক্ষেত্র। ওয়াশিংটনের জন্য নিকোলাস মাদুরোর টিকে থাকা এ কথা মনে করিয়ে দেয় লাতিন এই দেশটির কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা মস্কো এবং বেইজিং দ্বারা সুরক্ষিত থাকলে পশ্চিমা চাপ সহ্য করতে পারবে। ভেনেজুয়েলার চারপাশে মার্কিন নৌবাহিনীর মহড়া এক সঙ্গে দুটো বার্তা দিচ্ছে। প্রথম বার্তা হলো ওয়াশিংটন জবরদস্তিমূলক শক্তি কারাকাসের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। দ্বিতীয় বার্তা হলো বিশ্ববাজারের প্রতি, ‘পশ্চিম গোলার্ধে আমেরিকান আধিপত্য আলোচনার যোগ্য নয়।
ভেনেজুয়েলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মার্কিন প্রশাসন সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত সামরিক বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রোন হামলা চালিয়ে ভেনেজুয়েলার মাদক উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে আঘাত করা এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধী গোষ্ঠীকে টার্গেট করা।
ভেনেজুয়েলা শুধু একটি তেলরাষ্ট্র নয়; এটি একটি প্রতীকী যুদ্ধক্ষেত্র। ওয়াশিংটনের জন্য নিকোলাস মাদুরোর টিকে থাকা এ কথা মনে করিয়ে দেয় লাতিন এই দেশটির কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা মস্কো এবং বেইজিং দ্বারা সুরক্ষিত থাকলে পশ্চিমা চাপ সহ্য করতে পারবে। ভেনেজুয়েলার চারপাশে মার্কিন নৌবাহিনীর মহড়া এক সঙ্গে দুটো বার্তা দিচ্ছে। প্রথম বার্তা হলো ওয়াশিংটন জবরদস্তিমূলক শক্তি কারাকাসের ওপর চাপিয়ে দিতে চায়। দ্বিতীয় বার্তা হলো বিশ্ববাজারের প্রতি, ‘পশ্চিম গোলার্ধে আমেরিকান আধিপত্য আলোচনার যোগ্য নয়।
ভেনেজুয়েলাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য মার্কিন প্রশাসন সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত সামরিক বিকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ড্রোন হামলা চালিয়ে ভেনেজুয়েলার মাদক উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে আঘাত করা এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধী গোষ্ঠীকে টার্গেট করা।
দেশে গোপন স্বৈরতন্ত্রের আভাস : তারেক রহমান
Janatar Voice জনতার ভয়েস খবর পেতে ফেসবুক পেইজ ফলো করুন


No comments