আলোচিত বেগমপাড়া: কার কত বাড়ি-ফ্ল্যাট কানাডায়

আলোচিত বেগমপাড়া কার কত বাড়ি-ফ্ল্যাট কানাডায়

কানাডার ‘বেগমপাড়া’ নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ২০২০ সালে। তখন প্রকাশ পায়—বাংলাদেশের বহু প্রভাবশালী রাজনীতিক, আমলা ও ব্যবসায়ী দুর্নীতির অর্থ পাচার করে স্ত্রী-সন্তানদের কানাডায় পাঠিয়ে সেখানে কিনেছেন ফ্ল্যাট-বাড়ি ও গড়েছেন বিলাসবহুল জীবন।

তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর জানান, রাজনীতিকদের তুলনায় সরকারি কর্মকর্তারাই বেশি অর্থ পাচার করেছেন। এরপর দুদক সরকারের কাছে ২৮ জনের তালিকা চায়। মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকেও বিষয়টি আলোচিত হয়। হাইকোর্ট বিদেশে অর্থপাচারকারীদের বিস্তারিত তথ্য জানতে চায়, দুদকের তথ্য অনুযায়ী, শতাধিক ব্যক্তি প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন। তবে রাজনৈতিক চাপের মুখে তদন্ত থেমে যায়।

তালিকাভুক্তদের অধিকাংশই সাবেক আমলা। তাঁদের মধ্যে—

  • ড. আহমদ কায়কাউস: কানাডার মন্ট্রিল ও টরন্টোয় চারটি বাড়ি।
  • আবু আলম শহীদ খান (৮২ ব্যাচ, সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব): টরন্টোয় বাড়ি, বর্তমানে কারাগারে।
  • আবুল কালাম আজাদ: টরন্টোয় তিনটি ফ্ল্যাট।
  • নজিবুর রহমান: মিসিসাগায় দুটি বিলাসবহুল বাড়ি (বর্তমানে কারাবন্দি)।
  • ড. ইকবাল মাহমুদ (সাবেক দুদক চেয়ারম্যান): কানাডায় তিনটি বাড়ি।
  • মহিবুল হক (সাবেক বিমান সচিব): তিনটি অ্যাপার্টমেন্ট।
  • ফজলে কবির (সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক): মন্ট্রিলে দুটি ফ্ল্যাট।
  • আবদুর রউফ তালুকদার (সাবেক গভর্নর): টরন্টোয় পাঁচটি বাড়ি ও ফ্ল্যাট।
  • সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: মন্ট্রিলে তিনটি বাড়ি।
  • জাহাংগীর আলম: দুটি বাড়ি।
  • এম. নিয়াজ উদ্দিন: দুটি বাড়ি ও একটি খামারবাড়ি।

অন্যদের মধ্যে—

  • প্রশান্ত কুমার হালদার: তিনটি ফ্ল্যাট।
  • নাফিস সরাফত: চারটি ফ্ল্যাট ও বিনিয়োগ।
  • শহীদ ইসলাম পাপুল: তিনটি বাড়ি ও বিনিয়োগ।
  • তানভীর ইমাম (সাবেক এমপি): দুটি ফ্ল্যাট।
  • মতিউর রহমান (এনবিআর কর্মকর্তা): তিনটি বাড়ি।
  • নাইমুল ইসলাম খান (সাবেক প্রেস সচিব): একটি ফ্ল্যাট।
  • নজরুল ইসলাম মজুমদার (নাসা গ্রুপ চেয়ারম্যান): চারটি বাড়ি ও বিনিয়োগ।
  • শামীম ওসমান (সংসদ সদস্য): একটি বাড়ি।
  • বেনজীর আহমেদ (সাবেক আইজিপি): মেয়ের নামে দুটি বাড়ি।
  • বিচারপতি এস কে সিনহা: মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট।
  • শাহরিয়ার আলম (সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী): তিনটি বাড়ি ও বিনিয়োগ।

এ তালিকায় আরও রয়েছেন কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, যাদের পরিবারের সদস্যরা কানাডায় বসবাস করছেন। তাঁদের মধ্যে এক বিতর্কিত ব্যবসায়ী পরিবারের নামে রয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ।

আরো পড়ুন : অনেক উপদেষ্টা সেফ এক্সিটের পথ খুঁজছেন : নাহিদ ইসলাম

প্রবাসী বাংলাদেশিরা বলছেন, এসব প্রভাবশালী ব্যক্তি কানাডায় রাজকীয় জীবনযাপন করছেন, অথচ তাঁদের বৈধ আয়ের উৎস নেই—এতে স্থানীয় কমিউনিটিতে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র: দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, ৬ অক্টোবর।

Janatar Voice জনতার ভয়েস খবর পেতে ফেসবুক পেইজ ফলো করুন


No comments

Powered by Blogger.