চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে ৬ জনের মৃত্যু, আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে ৬ জনের মৃত্যু, আশঙ্কা আরও বাড়তে পারে, ঝিকরগাছা, মদপান, মৃত্যু, চুয়াডাঙা, আজকের খবর, সর্বশেষ সংবাদ, ব্রেকিং নিউজ,

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত চোলাই মদ পান করে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের সবাই শ্রমজীবী ও দিনমজুর। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, গত ১০ অক্টোবর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকার একটি গোপন স্থানে ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি একসঙ্গে চোলাই মদ পান করেন। পরদিন তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর রবিবার (১২ অক্টোবর) আরও তিনজন অসুস্থ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে দু’জন মারা যান এবং একজন এখনও চিকিৎসাধীন আছেন।

মৃতদের মধ্যে পরিচয় শনাক্ত হয়েছে ছয়জনের—

  • শঙ্করচন্দ্র গ্রামের মৃত সামনের ছেলে লাল্টু (৪৫), 
  • নবীছদ্দিনের ছেলে শহীদ মোল্লা (৫০), 
  • টাওয়ারপাড়ার ছমির উদ্দীন (৫৫), 
  • খাজুরা গ্রামের সেলিম (৩৮), 
  • পিরোজখালি পূর্বপাড়ার নবীসদ্দী ওরফে কাশেমের ছেলে লালটু (৩৮)
  • নফরকান্দী গ্রামের খেদের আলী (৫৫)।

পুলিশ জানায়, মৃতদের মধ্যে চারজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে, বাকিদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ডিঙ্গেদহ বাজার এলাকায় অবৈধভাবে দেশি চোলাই মদের ব্যবসা চলে আসছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন তারা।

ডিঙ্গেদহ বাজারের ব্যবসায়ী রানা বলেন, “প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটছে। নিয়মিত অভিযান চালালে হয়তো এ ধরনের মাদকের ভয়াবহতা কমত।”

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ডিঙ্গেদহ হানুরবারাদীর আলিম উদ্দিন। তিনি জানান, “আমরা ভুট্টার গাড়ি লোডের কাজ করি। কয়েক দিন আগে সর্দার আমাদের স্পিরিট পান করান। আমি অল্প খেয়েছিলাম, তারপর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ি।”

তার স্ত্রী বলেন, “মদ খাওয়ার পরই ওর শরীর খারাপ হয়। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তবে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।”

আরো পড়ুন:ভেজাল মদ পান করে তিনদিনে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু, যেসব বিষয়ে সাবধান থাকবেন

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে অ্যালকোহলিক পয়জনিংয়ের কারণে এসব মৃত্যু ঘটেছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ মদের সিন্ডিকেটকে রুখতে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে এ ধরনের প্রাণঘাতী ঘটনা আরও বাড়তে পারে।

আরো পড়ুন:সাভারে গোয়েন্দা পরিচয় ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ছিনতাই

Janatar Voice জনতার ভয়েস খবর পেতে ফেসবুক পেইজ ফলো করুন

No comments

Powered by Blogger.