ভিকারুননিসার ছাত্রীকে ধর্ষণ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ভিকারুননিসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,  আজকের খবর,সর্বশেষ সংবাদ,ভিকারুননিসার,ব্রেকিং নিউজ,ছাত্রীকে ধর্ষণ,বাংলাদেশ খবর,যাবজ্জীবন কারাদণ্ড,  আজকের প্রধান খবর,দেশের রাজনীতি সংবাদ,

 প্রতীকী ছবি

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আনিছ আহম্মেদ নীল (৩৫) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া অপহরণের দায়ে তাকে আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী রাশেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন আনিছ আহম্মেদ নীল। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় মামলা করে। তদন্ত শেষে পুলিশ তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত আজ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে বলা হয়েছে, “অভিযুক্ত আনিছ আহম্মেদ নীল নাবালিকা শিক্ষার্থীর জীবন ও সম্মান নষ্ট করেছে, যা সমাজে গভীর প্রভাব ফেলেছে।”

রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদেশে বলা হয়েছে, আসামিকে যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ১৪ বছরের দণ্ডের সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। আসামির স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা ভুক্তভোগীর পরিবারকে দিতে ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে নীলের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল নীল। তাকে উত্ত্যক্ত না করতে অনুরোধ জানায় পরিবার। কিন্তু এতে কর্ণপাত করে না নীল।২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর দুপুর আড়াইটার দিকে ভুক্তভোগী বাসা থেকে কোচিং করতে আজিমপুরের উদ্দেশ্যে বের হয়। কোচিং শেষে মেয়েটি আর বাসায় ফেরেনি। পরে তাকে খুঁজতে তার বাবা আজিমপুরে গিয়ে কোচিং শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষক জানান, সেদিন ছাত্রীটি কোচিংয়ে আসেনি। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে মেয়েটি কামরাঙ্গীরচর থানাধীন বড়গ্রাম চেয়ারম্যানবাড়ি মোড়ে পৌঁছালে আনিছ আহম্মেদ নীলসহ তিন–চারজন অজ্ঞাত যুবক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।


এ ঘটনার পর ৮ নভেম্বর ভুক্তভোগীর বাবা কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ একই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মামুন হোসেন আনিছ আহম্মেদ নীলের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ট্রাইব্যুনাল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। মামলার বিচারপ্রক্রিয়ায় আদালত মোট ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

No comments

Powered by Blogger.