ইবাদত চলে অহির নিয়মে, ব্যক্তিগত খেয়ালে নয়
কোরআনুল কারিমের অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৫-৫৬
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
وَ كَذٰلِكَ نُفَصِّلُ الۡاٰیٰتِ وَ لِتَسۡتَبِیۡنَ سَبِیۡلُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۵۵﴾
قُلۡ اِنِّیۡ نُهِیۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ قُلۡ لَّاۤ اَتَّبِعُ اَهۡوَآءَكُمۡ ۙ قَدۡ ضَلَلۡتُ اِذًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الۡمُهۡتَدِیۡنَ ﴿۵۶﴾
সুরা : আনআম, আয়াত : ৫৫-৫৬
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
পরম করুণাময়, অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে
وَ كَذٰلِكَ نُفَصِّلُ الۡاٰیٰتِ وَ لِتَسۡتَبِیۡنَ سَبِیۡلُ الۡمُجۡرِمِیۡنَ ﴿۵۵﴾
قُلۡ اِنِّیۡ نُهِیۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ الَّذِیۡنَ تَدۡعُوۡنَ مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ ؕ قُلۡ لَّاۤ اَتَّبِعُ اَهۡوَآءَكُمۡ ۙ قَدۡ ضَلَلۡتُ اِذًا وَّ مَاۤ اَنَا مِنَ الۡمُهۡتَدِیۡنَ ﴿۵۶﴾
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
আয়াত ৫৫:
আল্লাহ তাআলা কোরআনের আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে সত্য-মিথ্যা, সঠিক পথ ও ভ্রষ্ট পথ স্পষ্ট হয়ে যায়। এখানে অপরাধীদের পথ বলতে শিরক, কুফর, বিদ্রোহ ও অবাধ্যতার পথকে বোঝানো হয়েছে। এভাবে তাদের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়, যেন মুমিনরা তা অনুসরণ না করে। ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন—কোরআন এমনভাবে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য তুলে ধরে, যাতে পথভ্রষ্ট মানুষও সত্যকে চিনতে পারে এবং ভ্রষ্টতা থেকে দূরে থাকতে পারে।
আয়াত ৫৬:
আল্লাহ তাঁর রাসূল (সা.)-কে নির্দেশ দিয়েছেন মুশরিকদের জানিয়ে দিতে যে, তিনি কখনোই তাদের উপাস্য দেবতাদের ইবাদত করতে পারবেন না। মুশরিকরা চেয়েছিল, কখনো তাদের দেবতাদের পূজা করা হোক, আবার কখনো আল্লাহর ইবাদত—অর্থাৎ একটি সমঝোতার প্রস্তাব। কিন্তু এ আয়াত স্পষ্ট জানিয়ে দিল: আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত সম্পূর্ণ হারাম।
“আমি তোমাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করি না”—এর অর্থ হলো, সত্য ছেড়ে সমাজ, প্রথা বা সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছার অনুসরণ করা যাবে না। ধর্ম হলো ওয়াহীর ওপর প্রতিষ্ঠিত, মানুষের ইচ্ছা বা আবেগের ওপর নয়। এমনকি যদি (কল্পনা-স্বরূপ) নবীও তাদের ইচ্ছা মানতেন, তবে তিনিও পথভ্রষ্ট হতেন। অথচ আল্লাহ তাঁকে হিদায়াতপ্রাপ্ত করেছেন।
মূল শিক্ষা:
ইবাদতের ক্ষেত্রে কেবল অহি/ওহীর নির্দেশনাই মান্য, মানুষের খেয়াল-খুশী নয়।
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা সবচেয়ে বড় ভ্রষ্টতা।
নবীও খেয়াল-খুশী অনুসরণ করেননি, তাই সাধারণ মুসলমানেরও প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও বহু মানুষ, এমনকি মুসলমানদের একটি অংশও, এই ভ্রষ্টতার মধ্যে নিমজ্জিত। আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে হিদায়াত করুন।
আল্লাহ তাআলা কোরআনের আয়াতগুলো সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন, যাতে সত্য-মিথ্যা, সঠিক পথ ও ভ্রষ্ট পথ স্পষ্ট হয়ে যায়। এখানে অপরাধীদের পথ বলতে শিরক, কুফর, বিদ্রোহ ও অবাধ্যতার পথকে বোঝানো হয়েছে। এভাবে তাদের পথ পরিষ্কার হয়ে যায়, যেন মুমিনরা তা অনুসরণ না করে। ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) বলেন—কোরআন এমনভাবে সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য তুলে ধরে, যাতে পথভ্রষ্ট মানুষও সত্যকে চিনতে পারে এবং ভ্রষ্টতা থেকে দূরে থাকতে পারে।
আয়াত ৫৬:
আল্লাহ তাঁর রাসূল (সা.)-কে নির্দেশ দিয়েছেন মুশরিকদের জানিয়ে দিতে যে, তিনি কখনোই তাদের উপাস্য দেবতাদের ইবাদত করতে পারবেন না। মুশরিকরা চেয়েছিল, কখনো তাদের দেবতাদের পূজা করা হোক, আবার কখনো আল্লাহর ইবাদত—অর্থাৎ একটি সমঝোতার প্রস্তাব। কিন্তু এ আয়াত স্পষ্ট জানিয়ে দিল: আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত সম্পূর্ণ হারাম।
“আমি তোমাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করি না”—এর অর্থ হলো, সত্য ছেড়ে সমাজ, প্রথা বা সংখ্যাগরিষ্ঠের ইচ্ছার অনুসরণ করা যাবে না। ধর্ম হলো ওয়াহীর ওপর প্রতিষ্ঠিত, মানুষের ইচ্ছা বা আবেগের ওপর নয়। এমনকি যদি (কল্পনা-স্বরূপ) নবীও তাদের ইচ্ছা মানতেন, তবে তিনিও পথভ্রষ্ট হতেন। অথচ আল্লাহ তাঁকে হিদায়াতপ্রাপ্ত করেছেন।
মূল শিক্ষা:
ইবাদতের ক্ষেত্রে কেবল অহি/ওহীর নির্দেশনাই মান্য, মানুষের খেয়াল-খুশী নয়।
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা সবচেয়ে বড় ভ্রষ্টতা।
নবীও খেয়াল-খুশী অনুসরণ করেননি, তাই সাধারণ মুসলমানেরও প্রশ্নই আসে না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজও বহু মানুষ, এমনকি মুসলমানদের একটি অংশও, এই ভ্রষ্টতার মধ্যে নিমজ্জিত। আল্লাহ তাদেরকে সঠিক পথে হিদায়াত করুন।
.jpg)

No comments