গাজা পৌঁছাতে পারেননি শহিদুল আলম
লেখক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম নির্ধারিত সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় পৌঁছাতে পারেননি বলে জানান। নিজের অবস্থান ও সামগ্রিক পরিস্থিতি তিনি নিজেই শেয়ার করেছেন এবং গাজায় পৌঁছাতে কতটা সময় লাগতে পারে তাও ব্যাখ্যা করেছেন।
রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২:২৪ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করে তিনি জানালেন, চলার পথে আমাদের অবস্থান ট্র্যাক করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ট্র্যাকার ব্যবহার। ‘ফরেনসিক আর্কিটেকচার’ নামক সাইট তাদের সাথে কাজ করে—আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ওপর নির্মিত তদন্তমূলক চলচ্চিত্রে সহযোগিতার সুবাদে ওই সাইট কনশানস ও থাউজেন্ড ম্যাডলিনস উভয় নৌবহরের পথ ট্র্যাক করছে।
শহিদুল আলম বলেন, গাজার পথে কত দ্রুত পৌঁছা যাবে তা নির্ভর করবে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায়—আতীত অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে তারা সাধারণত অনুমতি দেয় না; আটক, ফেরত পাঠানো কিংবা কারাগারে পাঠানো—এসব সম্ভাবনা রয়েছে। কখন বা কোথায় এসব ঘটবে তা আগাম বলা যায় না; সেটা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
পোস্টে তিনি ‘আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন’ বলে অনুরোধও করেছেন — যদি জনগণ এমন চাপ সৃষ্টি করতে পারে যা আমাদের গাজায় পৌঁছাতে সহায়তা করে, তা হবে সর্বোৎকৃষ্ট ফল। তাঁর কথায়, একমাত্র উপায় হলো ইসরায়েলের ওপর সাধারণ মানুষের পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করা। সবাই একসঙ্গে হলেই এ প্রচার সফল হবে — এটি অধিকার ও ন্যায়ের জন্য একটি আন্দোলন।
আরো পড়ুন : গাজা ইস্যুতে শান্তি আলোচনার নতুন অধ্যায় খুলছে কায়রোতে
এছাড়াও তিনি লিখেছেন যে রোববার সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর কাছে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শহিদুল আলম বর্তমানে গাজা অভিমুখী কনশানস নৌযানে রয়েছেন। কনশানস হলো আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ ও ‘থাউজেন্ড ম্যাডলিনস টু গাজা (টিএমটিজি)’ জোটের একটি জাহাজ। এফএফসি ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ যৌথ আয়োজক জোটগুলোর অন্যতম, যা ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে উল্লেখ্য, তাদের বহরে কোনো খাদ্যসামগ্রী নেই।


No comments