স্বৈরাচারের দোসররা এখনো নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে : জয়নুল আবদিন ফারুক
ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার দেশের প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সত্য প্রকাশের সাহসী উদ্যোগগুলোকে দমন করেছে। এমনকি পাঠ্যপুস্তকও তারা দলীয় স্বার্থে বিকৃত করেছে—এটা গত ১৬ বছর ধরে জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে।”
তিনি নবনির্বাচিত প্রকাশক পরিষদের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সত্য কথা বলুন ও লিখুন। অতীতে যেমন দমন-পীড়নের শিকার হয়েছেন, ভবিষ্যতে যেন তা আর না হয়, সে জন্য আপনাদের মধ্যেও গণতান্ত্রিক চর্চা বজায় রাখতে হবে। স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও সত্যিকারের গণআন্দোলনের কথা আপনাদের লেখনিতে উঠে আসুক।
সাবেক চিফ হুইপ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করি, প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত নেতারা লেখনীর মাধ্যমে জনগণকে জানাবেন—স্বৈরাচার পালিয়েছে, কিন্তু তার দোসররা এখনো নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। আমার ভোট আমি দেব’—এই অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে সব পক্ষকে সহযোগিতা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে নবনির্বাচিত প্রকাশক পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফারুক বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসায় আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
সভায় সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, গত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার মুক্তচিন্তার গলা টিপে হত্যা করেছে। পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করেছে এবং প্রকাশনা শিল্পকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে। এখন এই সেক্টরকে পুনর্জাগরণ ঘটানোই জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশকদের দায়িত্ব।
আরো পড়ুন: বিশেষ একটি প্রতীকে ভোট দিলে জান্নাত যাওয়া যাবে, কোথায় আছে: প্রশ্ন মুরাদের
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সিনিয়র সহসভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, সহসভাপতি মো. মনিরুল হক, মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. জহির দীপ্তি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন রশিদ, হা. ন.ম. শরীফুল হক শাহ্জী, আমিনুর রহমান প্রমুখ।


No comments