আগামীকাল ঐতিহাসিক ‘জাতীয় জুলাই সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে

আগামীকাল শুক্রবার বিকেল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘জাতীয় জুলাই সনদ-২০২৫’-এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা ও উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

এর আগে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে এ বিষয়ে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির সার্বিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে এ বৈঠকের আহ্বান করেন প্রধান উপদেষ্টা। 

বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।

বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কারের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একটি অভিন্ন অঙ্গীকারে পৌঁছাবে।’

তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কার ও গণতন্ত্রের পুনর্জাগরণের ক্ষেত্রে এই জাতীয় সনদ একটি দিকনির্দেশনা হিসেবে ভূমিকা রাখবে।

দীর্ঘ আট মাস ধরে তিন ধাপে রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে অবশেষে ১৭ অক্টোবর স্বাক্ষরিত হয়ে চূড়ান্ত হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় জুলাই সনদ-২০২৫’।

বিস্তারিত জানুন...জুলাই জাতীয় সনদে সই না করার ঘোষণা বামপন্থী ৪ দলের

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সরকার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।

গত ১৬ আগস্ট রাতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো প্রাথমিক খসড়ায় কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায় তা সংশোধন করে পরবর্তীতে নির্ভুল খসড়া পাঠানো হয়।

এরপর গত বুধবার (২০ আগস্ট) কমিশনের পক্ষ থেকে খসড়াটির ওপর নিজেদের যে কোনো ধরনের মতামত প্রদানের সময় ২২ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

সকলের মতামত পর্যালোচনা করে এবং নির্ভুল আকারে জুলাই সনদ লিখিত আকারে চূড়ান্ত করে, গত ১৪ অক্টোবর সনদের চূড়ান্ত কপি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে তুলে দেওয়া হয়।