যুক্তরাজ্যে ট্রাম্পের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফর
রাজকীয় জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে বুধবার যুক্তরাজ্যে শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। উইন্ডসর ক্যাসেলে তাকে স্বাগত জানান রাজা চার্লস, রানি ক্যামিলা, যুবরাজ উইলিয়াম ও কেট। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়াকে রাজকীয় বাহনে করে প্রাসাদের প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করানো হয়। সামরিক কুচকাওয়াজ ও আকাশে যুদ্ধবিমানের প্রদর্শনীসহ সাম্প্রতিক ইতিহাসে কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া সবচেয়ে বড় আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা হিসেবে বর্ণনা করছে লন্ডন।
ট্রাম্প বলেছেন, আমি ব্রিটেনকে ভালোবাসি। এটি এক বিশেষ স্থান।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার চান, এই সফর দুই দেশের বিশেষ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করুক। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে বাণিজ্য, শুল্ক কমানো, ইউক্রেন ও ইসরায়েল নিয়ে আলোচনা করবেন। মাইক্রোসফট, এনভিডিয়া, গুগল ও ওপেনএআই ইতিমধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও জ্বালানি খাতে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।
তবে ট্রাম্প ব্রিটেনে জনপ্রিয় নন। স্টারমারের জনপ্রিয়তাও কমছে, ফলে রাজকীয় সংযোগকে কতটা কাজে লাগানো সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।
উইন্ডসরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হলেও স্টপ দ্য ট্রাম্প কোয়ালিশন-এর নেতৃত্বে লন্ডনে বড় বিক্ষোভের ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে ট্রাম্প ও জেফ্রি এপস্টিনের ছবি প্রাসাদের একটি টাওয়ারে প্রদর্শন করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ট্রাম্প রাজা চার্লসের সঙ্গে সেনাদের অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং সেন্ট জর্জেস চ্যাপেল পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি প্রয়াত রানি এলিজাবেথের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে উভয় দেশের এফ–৩৫ যুদ্ধবিমানের উড়ান প্রদর্শিত হয়। রাতে রাজকীয় ভোজসভায় অংশ নেবেন তিনি।
ইতিহাসবিদ অ্যান্টনি সেলডনের মতে, যদি সফর সফল হয়, এটি রাজা চার্লসের রাজত্বকালের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হয়ে উঠবে।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভূরাজনীতি নিয়ে আলোচনা করবেন।


No comments