ইউনূসের বক্তব্যে ফখরুলের কানে ভেসে আসে ‘জিয়ার কণ্ঠ
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কণ্ঠস্বর শুনতে পাওয়ার অনুভূতির কথা জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার নিউ ইয়র্কে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশি’ অনুষ্ঠানে ইউনূসের উপস্থিতিতেই তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, “গত পরশু ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের এক সভায় সম্মানিত প্রফেসর ইউনূস কথা বলছিলেন। তখন আমার মনে হচ্ছিল, যেন আমি এ দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কণ্ঠ শুনছি।”
“যে স্বপ্ন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখেছিলেন যে বাংলাদেশকে একটা গণতান্ত্রিক, একটা সমৃদ্ধ এবং দুর্নীতিমুক্ত একটি বাংলাদেশে পরিণত করবেন, তার সমস্ত কথাগুলো সেই সময় প্রফেসর ইউনূসের কথায় বেরিয়ে আসছিল।”
বক্তব্যের শুরুতে ফখরুল বলেন, “আমাকে সবচেয়ে মুরুব্বি বলে পরিচিত করে দেওয়া হল, আমি নিজে কিন্তু এখনও আখতারদের (এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন) সঙ্গে মন করি।
“কারণ আজীবন লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। এবং এখনও লড়াই করেই চলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষ সংগ্রাম, লড়াই এটা তাদের মজ্জাগত। যে কোনো বিপদে, যে কোনো দুঃসময়ে সবাই এক হয়ে লড়াই করতে জানে, তার প্রমাণ জুলাই দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ সবসময়ই লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে। যে দিন থেকে এক দুঃসহ ও দানবীয় শাসকগোষ্ঠী দেশের ওপর ভর করে বসেছে, সেদিন থেকেই জনগণ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করেছে।
“আমি কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কথা বলছি না। এ সংগ্রামে প্রতিটি মানুষই অংশ নিয়েছে। যেমন আপনার তেঁতুলিয়ার গ্রামের মানুষ লড়াই করেছে, তেমনি আপনারাও প্রবাসে থেকে নিরলসভাবে সেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।”
তরুণদের ওপর নিজের আস্থার কথা তুলে ধরে ৭৭ বছর বয়সী ফখরুল বলেন, “আমি একটা কথা খুব স্পষ্ট করে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই যে আমরা যারা বয়োজ্যেষ্ঠ আছি, আমরা অনেকগুলো লড়াই লড়েছি। আমরা স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি, পরবর্তীকালে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, লড়াই করেছি।
তিনি বলেন, “আজ আমাদের সামনে শোয়েবরা, জারারা (এনসিপি নেতা তাসনিম জারা) উপস্থিত হয়েছেন। এতে আমরা আশাবাদী যে ভবিষ্যতে আবারও লড়াই চালিয়ে আমরা প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারব।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হলে বড় স্বপ্ন দেখতে হবে, আর সবচেয়ে জরুরি হলো রাজনৈতিক অঙ্গীকার।
তিনি যোগ করেন, “আমি শুধু এ কথাই বলতে চাই—আমরা আধুনিকভাবে চিন্তা করি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি আধুনিক চিন্তা করে। সেই চিন্তাকে গ্রহণ করার মানসিকতা আমাদের আছে এবং তা প্রসারিত করার মতো সংগঠনও আমাদের গড়ে তুলতে হবে।”
বাবার পাশবিতার শিকার ৪ বছরের হোসেনকে তালা ভেঙে উদ্ধার করল পুলিশ
শেষে তিনি বলেন, “আজ এখানে আপনাদের যাদের কথা শুনলাম, তাতে আমি আরও আশাবাদী হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের নতুন প্রজন্মই দেশের নতুন সংগ্রাম, নতুন লড়াই ও নতুন স্বপ্নের পথ ধরে আমাদেরকে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেবে।”
গুগল নিউজ জনতার ভয়েস টোয়েন্টিফোর ডটকম কে ফলো করুন
.png)

No comments